Sunday, May 5, 2024
28.9 C
Rajshahi
spot_img
হোমঅর্থনীতিবেলা যত বাড়ে, তত বাড়ে তরমুজের দাম

বেলা যত বাড়ে, তত বাড়ে তরমুজের দাম

বেলা যত বাড়ে, তত বাড়ে তরমুজের দাম

রমজান মাস উপলক্ষ্যে সাধারণ মানুষ ভীড় জমাচ্ছেন ফলের দোকানগুলোতে। ধর্মপ্রাণ মানুষের সেই আবেগের সুযোগ লুফে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ইফতারির সময় যত এগিয়ে আসে ফলে দাম তত বাড়তে থাকে। যে তরমুজ সকালে বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। সেই তরমুজ ইফতারের আগে চলে আসে কেজি দরে। প্রতিকেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এক একটা তরমুজের দাম গিয়ে ঠেকছে ৮শ’ থেকে হাজার টাকায়।

এ চিত্র রাজধানীর কারওয়ান বাজারের। কেজি দরে বিক্রির কারণ জানতে চাওয়া হলে ইদ্রীস মোল্লা জানান: তিনি কেজি দরে কিনে এনেছেন। তাই কেজি দরে বিক্রি করছেন। পাইকারিতে সারারাত জেগে প্রতিযোগিতা করে তরমুজ কিনেছেন তিনি। তাই বিক্রিও করবেন কেজি দরে।

তবে তার এ কথার সত্যতা মিলল না। আড়তের রশিদ দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে অপারগতা জানান। আরেক বিক্রেতা জানালেন আড়তে কেজি দরে বিক্রি হয় না। সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা শ’ পড়েছে তাদের। সে হিসেবে এক একটি তরমুজের সর্বোচ্চ দাম দাঁড়ায় ৩০০ টাকা।

তরমুজ কিনতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সজীবুর রহমান। তিনি বলেন, সকালে জিজ্ঞেস করছি এই তরমুজ চাইলো ৪০০ টাকা। এখন ইফতারের আগে কিনতে আসলাম। এখন নাকি কেজি দরে! ১০০ টাকা কেজি। ১০০ টাকা কেজি হইলে, এই তরমুজের দাম পড়বে ৮০০ টাকা। এরা তো মগের মুল্লুক পেয়ে বসেছে। এভাবে চলতে পারে না।

ক্রেতা-বিক্রেতার এ বাদানুবাদের মধ্যে উপস্থিত জাহাঙ্গীর নামে একজন আড়তদার।  তিনি জানালেন: এই তরমুজ সে আড়ত থেকে ২০ হাজার, ২৫ হাজার ও ৩০ হাজার টাকায় এ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছেন। সে হিসেবে প্রতিটি তরমুজ আকার ভেদে ২শ’ আড়াইশ’ ও ৩শ’ টাকা পড়েছে। তার এ কথায় ক্রেতাদের ওপর এতোক্ষণ চড়াও হওয়া বিক্রেতা চুপসে যায়। যদিও তিনি দাম কমতির বিষয়টি অস্বীকার করেন।

আরেক ক্রেতা মেহেদী হাসান বলেন: এভাবে চলে কিভাবে। সরকার বলছে বিদেশি ফলের পরিবর্তে দেশি ফল খেতে। আর দেখেন তরমুজের এ মৌসুমে একটা তরমুজ ৮শ’ থেকে হাজার টাকা। এভাবে চললে আমরা কী খেয়ে ইফতার করব? শুনেছি ফেরাউন নাকি তরমুজের ব্যবসা করতো। সে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে কেজি দরে বিক্রি করতো। এখন তো দেখি এরা ফেরাউনের মতো আচরণ করছে।

পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়: তরমুজের মৌসুম শুরু হয়েছে। তাই দাম কিছুটা বেশি। তারপরও কোন তরমুজই ৩৫০ থেকে ৪শ’ টাকার বেশি হওয়া উচিত না। কয়েকদিন পর তরমুজের আমদানি বাড়লে দাম আরও কমে আসবে।

এমন পরিস্থিতিতে বাজার মনিটরিং জোরদারের দাবি করেছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন বাজারে যে অবস্থা: এখনই শক্ত পদক্ষেপে নেওয়া না হলে রমজানের ১৫ দিনেই সারা মাসের বাজেট শেষ হয়ে যাবে।

স্বাধীন জনপদের সাথেই থাকুন

সম্পর্কিত সংবাদ

স্বাস্থ্যকথা

- Advertisment -

ইসলাম