Thursday, May 16, 2024
39.8 C
Rajshahi
spot_img
হোমরাজশাহী বিভাগরাজশাহী মতিহারে মাদক কারবারিদের আতঙ্ক, মির্জাপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহাগ ও কন্সটেবল শাওন

রাজশাহী মতিহারে মাদক কারবারিদের আতঙ্ক, মির্জাপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহাগ ও কন্সটেবল শাওন

নিজস্ব প্রতিনিধি:: রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার কয়েকটি এলাকাকে বলা হয় মাদক পল্লি। যেমন: তালাইমারী পাওয়ার হাউজ পাড়া, জাহাজঘাট, সাতবাড়িয়া, ডাঁসমারী স্কুলমোড়, ডাঁসমারী ফিল্ড, মালেকের মোড়, সুরাফানের মোড় ও মিজানের মোড়।

এসকল এলাকায় হাত বাড়ালেই মেলে সকল প্রকার মাদক। বিশেষ করে গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা ট্যাবলেট ও ফেনসিডিল। কিছু অসাধু পুলিশের এসআই ও কন্সটেবলের কারনে চিহ্নিত মাদক কারবারিরা সব সময়ই থাকছে ধরা ছোয়ার বাইরে এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

বর্তমানে মাদক কারবারির বাড়িতে ঢুকে হাতে হাতকড়া পরিয়ে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মহানগরীর মতিহার থানার মির্জাপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সোহাগ ও কন্সটেবল শাওনের বিরুদ্ধে। মতিহারের মাদক পল্লি এলাকার মাদক কারবারিদের আতঙ্ক এই দুই পুলিশ।

একাধিক স্থানীয়রা জানায়, মাদক কারবারিরা আতঙ্কে থাকবে এটা ভাল দিক। কিন্তু পুলিশ মাদক কারবারি ধরে মামলা দিবে না, টাকা নিয়ে ছেড়ে চলে যাবে, এই ধরনের কার্যক্রম সাধারন মানুষকে হতাশ করছে। মির্জাপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সোহাগ ও কন্সটেবল শাওন প্রায় প্রতিদিনই মাদক কারবারিদের বাড়িতে প্রবেশ করছে। মামক মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শণ করছে। দরদাম শুরু করছে ১লাখ থেকে শেষ পর্যন্ত যা পাওয়া যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মতিহার থানার এক পুলিশ সদস্য জানায়, স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য সঠিক। এর আগে মতিহার থানায় থাকতে মাদক মামলার ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামিদের কাছে মোটা অংকের টাকা নেওয়া, মাদক কারবারিদের কাছে মাসোহারা আদায় এবং মাদক-সহ মাদক কারবারি আটক করে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে এএসআই শাওনের ডিমোশন হয়ে কন্সটেবল হয়েছে। বর্তমানে সে মতিহার থানার মির্জাপুর ফাঁড়ির কন্সটেবল। পুরোনো অভ্যাস ছাড়তে পারেনি কন্সটেবল শাওন। বেশ কিছুদিন ধরে ফাঁড়ি ইনচার্জ সোহাগকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পূর্বের কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে কন্সটেবল শাওন। ফাঁড়ি ইনচার্জ ভাল মানুষ ছিলেন। তবে এখন শাওনের কারনে সেই সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে তার বলেও জানান এই পুলিশ সদস্য।

গত (২১ জুলাই) বিকালে মিজানের মোড় এলাকার নারী মাদক কারবারি মেরির বাড়িতে হানা দেয় ফাঁড়ি ইনচার্জ সোহাগ ও কন্সটেবল শাওন। এ সময় তার মেয়েকে আটকিয়ে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে আসে বলে অভিযোগ উঠেছে, এছাড়াও গত এক সপ্তাহের মধ্যে সাতবাড়িয়া এলাকার কুরফা নামের এক মাদক কারবারির কাছে নেয় ৮ হাজার টাকা, মাদক কারবারি লিপির বাড়িতে ঢুকে গাঁজা ধরে নেয় ৫০ হাজার, ৩পিস ইয়াবা-সহ মাদক কারবারি চম্পাকে আটক করে নেয় ৪০ হাজার।

এ ব্যপারে মির্জাপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহাগ এর মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, তথ্য নিতে হলে ফাঁড়িতে আসতে হবে। মুঠো ফোনে কথা বলা যাবে না।

কন্সটেবল শাওন বলেন, স্যারের সাথে কথা হয়েছে। নিউজ না করলে সন্ধার পরে ৫হাজার টাকা দিবো।

এ ব্যপারে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রুহুল আমিন জানান, আমি এসব বিষয় জানিনা। আপনার কাছে জানলাম। স্যারদের সাথে কথা বলে বিষয়গুলি তদন্ত করবো।

স্বাধীন জনপদের সাথেই থাকুন

সম্পর্কিত সংবাদ

স্বাস্থ্যকথা

- Advertisment -

ইসলাম