অনলাইন ডেস্কঃ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ধর্ম অবমাননার মামলায় সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। সাবেক ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম শাহিন পাঠান (৪৫)।
শাহিন পাঠান উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের মৃত সুরুজ পাঠানের ছেলে। সে বাউশিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং গজারিয়া উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জানা গেছে।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শাহিন পাঠান একটি পোস্ট করেন। তার ওই পোস্টে ধর্ম নিয়ে স্পর্শকাতর মন্তব্য ছিল। এদিকে পোস্টটি দেখার পরে এলাকাবাসীর মনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। বিষয়টি নিয়ে গজারিয়া উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ইউনুস প্রধান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ শাহিন পাঠানকে আটক করে। তাকে আটকের পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে শাহিন পাঠান অনুতপ্ত না হয়ে তার অবস্থানে অনড় থাকেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, ধর্ম অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার চেষ্টার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় অভিযোগটি আমলে নিয়ে এফআইআরভুক্ত করা হয়। পরে ধর্ম অবমাননার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে মামলার বাদী উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ ইউনুস পাঠান বলেন, তার এই পোস্টের কারণে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টিকে ইস্যু বানিয়ে বড় ধরনের রাজনৈতিক ফায়দা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে যাতে না পারে সেজন্য নিজে থানায় অভিযোগ করেছেন যাতে বিষয়টি আইনের মাধ্যমে সমাধান হয়। ইতোমধ্যে তাকে আটক করা হয়েছে এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল এবং ল্যাপটপ জব্দ করেছে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাকে অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে শাহিন পাঠানের বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে একাধিক ইসলামিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে শান্তি-শৃঙ্খলার কথা চিন্তা করে সব পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সাহেব আলী।